নাফাখুম ঝর্ণা ভ্রমণ

নাফাখুম জলপ্রপাত বান্দরবানের থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নে অবস্থিত, যা বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম জলপ্রপাত হিসেবে বিবেচিত। স্থানীয় মারমা ভাষায় ‘খুম’ মানে জলপ্রপাত, তাই রেমাক্রি থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা হাঁটলেই দেখা মেলে এই অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের। সাঙ্গু নদী পাড়ি দিয়ে নৌকায় থানচি বাজার থেকে রেমাক্রি পৌঁছাতে হয়। রেমাক্রির পাথুরে খাল দিয়ে প্রবাহিত জল নাফাখুমে এসে প্রায় ৩০ ফুট নিচে নেমে যায়, সৃষ্টি করে এক মায়াবী পরিবেশ। সূর্যের আলোয় জলীয় বাষ্পের মধ্যে রংধনুর খেলা পর্যটকদের মনোমুগ্ধ করে। যারা অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় এবং বান্দরবানের গহীন বনাঞ্চল, আদিবাসী সংস্কৃতি, আর সাঙ্গু নদীর রহস্যময়তা উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য নাফাখুম ভ্রমণ এক অনন্য অভিজ্ঞতা হতে পারে।

কখন যাবেন নাফাখুম ভ্রমণে

নাফাখুম জলপ্রপাত অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য সারা বছরই আকর্ষণীয় গন্তব্য। তবে বর্ষার সময় সাঙ্গু নদীর পানি বিপদসীমার উপরে থাকলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নাফাখুম যাওয়া বন্ধ রাখা হয়। শীতকালে আবার জলপ্রপাতের পানির প্রবাহ অনেক কমে আসে। তাই ভ্রমণের সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো বর্ষা শেষে, সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি। এই সময়ে নাফাখুমের প্রকৃতি তার সেরা রূপে ধরা দেয়। তবে যেকোনো মৌসুমেই যান, নাফাখুমের অনন্য সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে এবং এই ভ্রমণ স্মৃতিতে থেকে যাবে আজীবন।

নাফাখুম ভ্রমণে যাবেন কিভাবে

নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণের প্রথম গন্তব্য হবে বান্দরবান জেলা সদর। ঢাকা থেকে বান্দরবান পৌঁছাতে আপনি এস. আলম, ইউনিক, সেন্টমার্টিন হুন্দাই রবি এক্সপ্রেস, হানিফ, শ্যামলি, সৌদিয়া, সেন্টমার্টিন বা ডলফিন পরিবহনের বাস ব্যবহার করতে পারেন। নন এসি বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং এসি বাসের ভাড়া ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া, ঢাকা থেকে ট্রেনে চট্টগ্রাম হয়ে বান্দরবান যাওয়া যেতে পারে। পর্যটক এক্সপ্রেস, কক্সবাজার এক্সপ্রেস, সোনার বাংলা, সুবর্ণ ও মহানগর ট্রেনে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যেতে পারেন, যার ভাড়া শ্রেণী অনুযায়ী ৪০৫ থেকে ১৩৯৮ টাকা।

চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট বাস স্টেশন থেকে বান্দরবানগামী বাস পাওয়া যাবে। পূবালী ও পূর্বানী নামের বাসগুলোতে ভাড়া জনপ্রতি ২২০ টাকা। ধামপাড়া বাস স্টপেজ থেকেও বান্দরবান যাওয়ার বাস পাওয়া যায়। চাইলে রেন্ট-এ-কার করে মাইক্রোবাসে চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান যাওয়া যায়, যার ভাড়া ২,৫০০ থেকে ৩,৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

বান্দরবান থেকে থানচি পৌঁছানোর জন্য বাস বা চাঁদের গাড়ি ব্যবহার করতে পারেন। তারপর থানচি থেকে সাঙ্গু নদী ধরে নৌকায় রেমাক্রি বাজার যেতে হবে। রেমাক্রি থেকে নাফাখুম জলপ্রপাতের পথে পায়ে হাঁটার মধ্য দিয়ে আপনার অ্যাডভেঞ্চার শুরু হবে, যা এক অনন্য অভিজ্ঞতা।

বান্দরবান থেকে থানচি যাত্রার পথটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয়। দুই উপায়ে থানচি পৌঁছানো যায়—লোকাল বাসে বা রিজার্ভ জীপে (চান্দের গাড়ি)। বান্দরবানের থানচি বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রতি ঘণ্টায় লোকাল বাস থানচির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। জনপ্রতি ভাড়া ২০০ টাকা, আর সময় লাগে প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা। যারা একটু আরামে ও দলবদ্ধভাবে ভ্রমণ করতে চান, তারা রিজার্ভ জীপ নিতে পারেন। এর খরচ ৫,৫০০ থেকে ৬,০০০ টাকা এবং এক গাড়িতে ১২-১৪ জন যেতে পারেন। সময় লাগবে প্রায় ৩ থেকে ৩.৫ ঘণ্টা।

যাত্রাপথে মিলনছড়ি, চিম্বুক এবং নীলগিরির অপূর্ব প্রাকৃতিক দৃশ্য আপনার ভ্রমণকে আরও মনোমুগ্ধকর করে তুলবে। পাহাড়ি পথের মোড়গুলোতে সবুজের নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখতে দেখতে এই যাত্রা আপনাকে নিরন্তর তাজা অনুভূতি দেবে।

থানচি থেকে রেমাক্রি যাত্রার জন্য প্রথমে আপনাকে একজন গাইড ঠিক করতে হবে, কারণ গাইড ছাড়া নাফাখুম ভ্রমণ করা যাবে না। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমোদিত যেকোনো গাইডকে আপনি নিতে পারেন। গাইডের ফি সাধারণত ১৫০০ টাকা, যা থানচি থেকে রেমাক্রি গিয়ে পরদিন থানচিতে ফিরে আসা পর্যন্ত প্রযোজ্য। গাইড থানচিতে পৌঁছে ঠিক করতেও পারেন অথবা আগে থেকে পরিচিত গাইডের সাথে যোগাযোগ করে রাখলে সুবিধা হবে।

গাইড ঠিক করার পর থানচি বিজিবি ক্যাম্প বা থানায় গিয়ে ভ্রমণের অনুমতি নিতে হবে। ভ্রমণকারীদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য লিখে জমা দিতে হবে, যাতে ভ্রমণ অনুমোদন পাওয়া যায়। তবে মনে রাখতে হবে, বিকেল ৩টার পর থানচি থেকে রেমাক্রি যাত্রার অনুমতি মেলে না, তাই ২টার মধ্যে থানচি পৌঁছাতে হবে। অন্যথায়, আপনাকে পরদিন সকালে রেমাক্রির উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হবে, এতে একদিন বেশি সময় লাগবে।

অনুমতি পাওয়ার পর থানচি ঘাট থেকে ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করতে হবে। নৌকায় ৪-৫ জন যাত্রা করতে পারেন। রেমাক্রি পর্যন্ত নৌকা ভাড়া ৪,০০০-৫,০০০ টাকা, যা যাওয়া এবং ফিরে আসার জন্য প্রযোজ্য। নৌকায় যাত্রা করতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগবে, তবে নদীতে পানি কম থাকলে কিছু জায়গায় নৌকা থেকে নেমে হাঁটতে হতে পারে, এতে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে। যাত্রাপথে সাঙ্গু নদীর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য এবং পদ্মমুখ, তিন্দু, রাজাপাথর, বড়পাথর ও রেমাক্রি ফলসের মতো আকর্ষণীয় স্থানগুলো আপনাকে মুগ্ধ করবে।

এছাড়া গাইডের খাওয়া, থাকা ও অন্যান্য খরচও আপনাকে বহন করতে হবে, যা ভ্রমণের পূর্বেই বিবেচনা করতে হবে।

রেমাক্রি থেকে নাফাখুমের যাত্রা শুরু করতে হলে প্রথমে খুব সকালে বান্দরবান থেকে রওনা দিতে হবে। তবে মনে রাখবেন, রেমাক্রি পৌঁছাতে বিকেল হয়ে গেলে ওইদিন আর নাফাখুম যাওয়া সম্ভব হবে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে রেমাক্রি বাজারে রাত কাটিয়ে পরদিন সকালে নাফাখুমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হবে।

রেমাক্রি থেকে নাফাখুমে যাওয়ার জন্য আপনাকে স্থানীয় একজন গাইড নিতে হবে, যার জন্য আপনাকে ৫০০ টাকা খরচ করতে হবে। থানচি থেকে আসা গাইড এই বিষয়ে সহায়তা করবে। রেমাক্রি থেকে শুরু করে রেমাক্রি খাল ধরে হাঁটার সময় সাধারণত ২-৩ ঘণ্টা লাগে, তবে এটি সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করে আপনার সঙ্গীদের হাঁটার গতির ওপর এবং যাত্রার সময়ের উপর।

বর্ষাকালে রেমাক্রি খালে পানি অনেক বেশি থাকে, যা কোথাও কোমর পর্যন্ত হতে পারে। এই অবস্থায় কিছু জায়গায় খাল পার হতে হবে। যদি পানি বেশি থাকে, তাহলে ওই স্থানগুলোতে পারাপারে সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে। কিন্তু চিন্তা করার কিছু নেই; আপনার গাইড এইসব পারাপারে আপনাকে সহায়তা করবে।

রেমাক্রি খাল ও তার আশপাশের প্রকৃতি উপভোগ করতে করতে, একসময় আপনি নাফাখুম জলপ্রপাতের গর্জন শুনতে পাবেন, যা আপনার ভ্রমণকে আরো রোমাঞ্চকর করে তুলবে।

থাকবেন কোথায় নাফাখুম ভ্রমণে

থানচিতে থাকার জন্য বেশ কিছু ভালো অপশন রয়েছে। যদি বিজিবি নিয়ন্ত্রিত সীমান্ত অবকাশ কেন্দ্রে থাকতে চান, তাহলে সেখানে থাকার জন্য রুম ভাড়া ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে।

এছাড়া থানচি বাজার এবং তার আশেপাশে কিছু কটেজ ও রেস্টহাউজ রয়েছে, যেখানে মান অনুযায়ী দৈনিক ভাড়া ২০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে পড়ে।

যদি আপনি রেমাক্রি বাজারে থাকার পরিকল্পনা করেন, তাহলে সেখানে আদিবাসীদের ঘরও ভাড়া নিতে পারেন। সাঙ্গু নদীর ধারে আদিবাসীদের রেস্টহাউজে একাধিক জনের মধ্যে থাকার ক্ষেত্রে জনপ্রতি ভাড়া লাগবে মাত্র ১৫০ টাকা।

এইসব অপশনগুলোর মাধ্যমে আপনি আপনার বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী সুবিধাজনক ব্যবস্থা করতে পারবেন।

খাবেন কোথায় নাফাখুম ভ্রমণে

থানচি বাজারে কিছু মোটামুটি মানের খাবারের হোটেল রয়েছে, যেখানে আপনি খেয়ে নিতে পারবেন। এছাড়া রেমাক্রিতে আদিবাসী বাড়িতে খাবারের ব্যবস্থা আছে, কিন্তু আগে থেকে জানালে ভালো হবে। খাবারটি সাধারণত প্যাকেজ সিস্টেমে পাওয়া যায়, যেখানে ভাত, ভর্তা, ভাজি এবং ডিম থাকবে। এই খাবারের খরচ হবে ৮০ টাকা। যদি আপনি ডিমের পরিবর্তে মুরগি খেতে চান, তবে খরচ হবে ১২০ টাকা। তাই, আপনি যাওয়ার আগে গাইডের মাধ্যমে খাবার ব্যাপারে আগে থেকেই জানিয়ে রাখতে পারেন কি খাবেন এবং কতজন খাবেন।

নাফাখুম ভ্রমণে কিছু টিপস

যেখানেই থাকেন, চেষ্টা করবেন সকালে বান্দরবান পৌঁছানোর। ঢাকা থেকে রাত ৯-১০ টার বাসে রওনা দিলে সকালে বান্দরবান পৌঁছাতে পারবেন। সেখানে এসে সময় নষ্ট না করে স্থানীয় বাস বা জীপে করে থানচির উদ্দেশ্যে চলে যান। থানচিতে পৌঁছে প্রয়োজনীয় অনুমতি ও অন্যান্য কাজ সেরে নৌকায় রেমাক্রি বাজারে যাত্রা করুন। রাতে রেমাক্রিতে থাকুন এবং পরদিন সকালে নাফাখুম জলপ্রপাত পরিদর্শন করুন। দুপুরের দিকে রেমাক্রিতে ফিরে এসে খাবার খেয়ে সময় নষ্ট না করে নৌকায় থানচি বাজারে চলে আসুন। এরপর থানচি থেকে বাস বা জীপে সন্ধ্যার মধ্যে বান্দরবানে ফিরে আসুন এবং সেখানে কিছু খাওয়া-দাওয়া করে রাতের বাসে ঢাকা অথবা আপনার পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

নাফাখুম ভ্রমণে সাধারণত যাতায়তের খরচটাই প্রধান। যদি আপনি কম খরচে নাফাখুমে যেতে চান, তাহলে ৩, ৪, ৯ বা ১৪ জনের একটি দলের সঙ্গে পরিকল্পনা করলে বেশ সুবিধা হবে। ঢাকা থেকে নন এসি বাসে বান্দরবান, তারপর বান্দরবান থেকে থানচিতে বাসে যাওয়া এবং একইভাবে ফিরে আসার মাধ্যমে খরচ অনেকটা কমে যাবে।

নিচে ৪ জনের একটি দলের জন্য এক রাত দুই দিনের খরচের একটি ধারণা দেয়া হলো, যা আপনার বাজেট নির্ধারণে সহায়তা করবে। এতে অন্যান্য খরচ আপনার চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।

সর্তকতা

নাফাখুম ভ্রমণের জন্য কিছু টিপস:

  1. দলগতভাবে পরিকল্পনা করুন: খরচ কমাতে দলবদ্ধভাবে ভ্রমণ করুন এবং ছুটির দিনগুলো পরিহার করুন।
  2. লাইফ জ্যাকেট: বর্ষাকালে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে লাইফ জ্যাকেট সঙ্গে নিন।
  3. ভালো জুতা: ট্রেকিংয়ের জন্য ভালো গ্রিপের জুতা ব্যবহার করুন, কারণ পাথুরে পথ পিচ্ছিল হয়ে যেতে পারে।
  4. সাবধানতার সঙ্গে হাঁটুন: জলপ্রপাতের চারপাশের পাথুরে দেয়ালগুলিতে সাবধানভাবে হাঁটুন এবং গভীর পানিতে লাফ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  5. বাঁশের লাঠি: ট্রেকিংয়ের সময় বাঁশের লাঠি সঙ্গে নিলে হাঁটতে সুবিধা হয়।
  6. দড়ি এবং গাইডের সহায়তা: বর্ষায় রেমাক্রি খাল পাড়ি দেওয়ার সময় লাইফ জ্যাকেট পরিধান করুন এবং গভীর পানিতে গেলে দড়ি বা গাইডের সহায়তা নিন।
  7. মোবাইল চার্জ: থানচির পর মোবাইল নেটওয়ার্কের সেবা পাওয়া যায় না, তাই ক্যামেরা ও মোবাইল চার্জ করে নিয়ে যান।
  8. পাওয়ার ব্যাংক: প্রয়োজনে পাওয়ার ব্যাংক নিয়ে যান।
  9. ফার্স্ট এইড কিট: সঙ্গে ফার্স্ট এইড কিট রাখুন।
  10. পানি বোতল: হাঁটার সময় পানির বোতল এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী (বিস্কুট, চিপস, স্যালাইন) সঙ্গে রাখুন।
  11. ময়লা আবর্জনা: দয়া করে ময়লা আবর্জনা সেখানে সেখানে ফেলবেন না; সব ময়লা আবর্জনা সাথে নিয়ে ফেরার চেষ্টা করুন।
  12. আদিবাসীদের প্রতি ভদ্রতা: আদিবাসীদের সাথে ভদ্র আচরণ করুন।
  13. নীলগিরি ভ্রমণ: জীপে ফেরার সময় হাতে সময় থাকলে নীলগিরি ঘুরে আসতে পারেন।
  14. ছুটির দিনে ভাড়া: সরকারি ছুটির দিনে ট্রলার ও জীপের ভাড়া কিছুটা বেশি হতে পারে।

নাফাখুম ভ্রমণে আপনি কিছু অসাধারণ স্থান দেখতে পাবেন। চিম্বুক, বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়, এবং নীলগিরি, যা তার সবুজ পাহাড়ি দৃশ্যের জন্য পরিচিত। থানচির শান্ত পরিবেশ এবং সাঙ্গু নদীর তীরে হাঁটা আপনার ভ্রমণকে বিশেষ করে তুলবে। পদ্মমুখ ও তিন্দু’র ভূ-স্বর্গ, রাজাপাথরের বিশাল পাথর, এবং রেমাক্রি ফলসের সৌন্দর্য আপনাকে বিমোহিত করবে। এছাড়া আশেপাশের দর্শনীয় স্থানগুলো যেমন আমিয়াখুম, ডিম পাহাড়, আলীকদম, বগালেক, কেওক্রাডং, নীলাচল ও স্বর্ণমন্দির এই ভ্রমণকে আরও রঙিন করে তুলবে।

ভ্রমণ সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য ও আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজ ফলো করুন এবং আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন।

বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে জানিয়ে দিন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top