টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ

টাঙ্গুয়ার হাওর, সুনামগঞ্জ জেলার বুকে অবস্থিত এক বিস্ময়কর জলাভূমি, যেখানে প্রকৃতি তার সমস্ত সৌন্দর্য নিয়ে মেলে ধরেছে। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই হাওর বর্ষার সময়ে যেন আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে, জল আর সবুজের মিশেলে এক স্বর্গীয় দৃশ্য। হাওরের গভীর অথৈ পানিতে ভেসে চলার সময়, চারপাশে দেখা যায় জীববৈচিত্র্যের সমারোহ—প্রায় ১৪০ প্রজাতির মাছ, ১৫০ প্রজাতির সরীসৃপ আর শীতকালে আগত ২৫০ প্রজাতির অতিথি পাখির কলরব যেন মনকে অন্য জগতে নিয়ে যায়। দূরে মেঘালয়ের পাহাড়গুলো স্পষ্টভাবে দেখা যায়, আর পাহাড়ের বুক থেকে নেমে আসা ঝর্ণাগুলো হাওরে মিশে পরিবেশটাকে করে তুলেছে আরও মায়াময়। একটি ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরো হাওরকে দেখে মনে হয় যেন পানির তলদেশেই সবকিছু দেখা যাচ্ছে, এতটাই স্বচ্ছ এই হাওরের পানি। ভাসমান ৪৬টি দ্বীপ গ্রাম টাঙ্গুয়ার হাওরের আরেকটি অনন্য আকর্ষণ। প্রকৃতির এই অপরূপ রূপের সাক্ষী হতে এখানে আসা এক অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা।

টাঙ্গুয়ার হাওর ট্রাভেলের উপযুক্ত সময়

টাঙ্গুয়ার হাওরে বর্ষাকালে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ছিল সত্যিই অসাধারণ। জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হাওরের পানির গভীরতা এবং বিস্তৃতি এতটাই মুগ্ধকর যে, মনে হবে যেন এক বিশাল সমুদ্রের মধ্যে ভাসছি। আশেপাশের পাহাড়, নীল আকাশ, আর সবুজের মিশেল এক অন্যরকম সৌন্দর্য তৈরি করে। তবে শীতকালে গেলে সেই হাওর আবার অন্যরকম এক রূপ ধারণ করে, অতিথি পাখির মেলা আর হাওরের শান্ত সৌন্দর্য—সব মিলিয়ে একেবারে অন্য এক অভিজ্ঞতা।

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে কি দেখবেন

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে শুধু হাওরের অপরূপ সৌন্দর্যই নয়, বরং আরও কিছু আশ্চর্যজনক জায়গাও ঘুরে দেখার সুযোগ হয়েছিল। আমরা ছোট-ছোট সোয়াম্প ফরেস্ট পেরিয়ে গেলাম, সেখানে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অনন্য। ওয়াচ টাওয়ারে উঠে চারপাশের বিস্তীর্ণ জলরাশি আর সবুজ পাহাড়ের দৃশ্য এক কথায় মনোমুগ্ধকর। এরপর সিরাজ লেকের নীল জলে নৌকা ভাসিয়ে বেড়ানো, শিমুল বাগানের লাল রঙের সমাহার, বারিক টিলা থেকে যাদুকাটা নদীর স্নিগ্ধ প্রবাহ আর লাউড়ের গড়ের প্রাচীন সৌন্দর্য, সব মিলিয়ে এই ভ্রমণ যেন এক স্বপ্নের মতো ছিল।

কিভাবে যাবেন টাঙ্গুয়ার হাওরে

সুনামগঞ্জের পথে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল ভোরবেলায়। দেশের যেকোনো জেলা থেকেই সুনামগঞ্জে সরাসরি বাসে আসা যায়, তাই ভ্রমণটা ছিল বেশ সহজ। সুনামগঞ্জ থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরের পথে যাত্রা শুরু করতে হলে সবার আগে সুনামগঞ্জ শহরে আসতেই হবে। সেখান থেকেই শুরু হবে প্রকৃতির সাথে আমার নতুন করে মিতালি।

ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ: ঢাকার ব্যস্ত সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে ভোরের আলো ফুটতেই হাজির হয়েছিলাম সুনামগঞ্জের পথে রওনা হওয়ার জন্য। মামুন ও শ্যামলী পরিবহণের বাসগুলো প্রতিদিন এখান থেকে সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। মহাখালী থেকে এনা পরিবহণের বাসও আছে, যেটা শহরের অন্য পাশ থেকে ছাড়ে। নন-এসি বাসের যাত্রা খুবই আরামদায়ক, আর টিকেটের দামও বেশ সাশ্রয়ী—প্রতি টিকেট ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকার মধ্যে। ছয় ঘণ্টার পথ পেরিয়ে সুনামগঞ্জ পৌঁছার পর মনে হলো, দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তি যেন প্রকৃতির স্নিগ্ধতায় হারিয়ে গেল।

সিলেট থেকে সুনামগঞ্জ: সিলেটে যখন ছিলাম, তখন ঠিক করলাম সুনামগঞ্জের দিকে একটু ঘুরে আসি। কুমারগাঁও বাস স্ট্যান্ড থেকে সিটিং বাসে উঠলাম, মাত্র ১০০ টাকায়। যাত্রাপথে দুই ঘন্টার মতো সময় লেগেছে, কিন্তু রাস্তার মনোরম দৃশ্যগুলো এতটাই মুগ্ধ করেছিল যে সময়টা কখন পেরিয়ে গেল বুঝতেই পারিনি। আরেকবার যখন শাহজালাল মাজারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম, তখন হঠাৎ করেই লাইট গাড়িতে সুনামগঞ্জ যাওয়ার ইচ্ছা হলো। ২০০ টাকা ভাড়ায় সিট পেলাম, আর সিলেটের হালকা বৃষ্টিতে ভিজে রওনা দিলাম সুনামগঞ্জের দিকে।

সুনামগঞ্জ থেকে টাঙ্গুয়ার: সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর যাওয়ার পথে আমি লেগুনা নিলাম। সিএনজি আর বাইকও ছিল, কিন্তু গ্রাম বাংলার রাস্তা আর পথের ধুলোমাখা বাতাসের সাথে লেগুনার খোলা জানালা থেকে দৃশ্যগুলো দেখতে বেশ লাগছিল। তাহিরপুর পৌঁছে নৌকা ঘাটে গিয়ে সাইজ অনুযায়ী একটা নৌকা ভাড়া করলাম, হাওরে ভেসে বেড়ানোর জন্য। শীতকালে যেহেতু পানি কমে যায়, তখন সোলেমানপুর পর্যন্ত সিএনজি বা বাইকে গিয়ে নৌকা নিতে হয়। তবে বর্ষার সময়ের টাঙ্গুয়ার হাওরের সজীব রূপের তুলনা নেই!

হাউসবোট ও নৌকা ভাড়া

টাঙ্গুয়ার হাওরের মধ্যে ঘুরে দেখার জন্য নানা ধরনের নৌকা বা হাউজবোট পাওয়া যায়। আমি যখন টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করেছি, তখন বেশ কিছু অপশন ছিল—ছোট নৌকা থেকে শুরু করে প্রিমিয়াম হাউজবোট পর্যন্ত।

বিশেষ করে, হাউজবোটের মধ্যে থাকা খুবই সুন্দর অভিজ্ঞতা। প্রিমিয়াম হাউজবোটের জন্য আমি শুনলাম, রাত কাটানো, খাবারসহ সবকিছু মিলিয়ে জনপ্রতি ৬,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা লাগবে। সেমি হাউজবোটগুলোতে কিছুটা কম খরচ হবে—৪,৫০০ থেকে ৬,০০০ টাকা পর্যন্ত। বড় হাউজবোট পুরোপুরি রিসার্ভ করতে চাইলে ৪০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা খরচ হতে পারে।

ডে ট্রিপের জন্য নৌকার ভাড়া একটু কম, সাধারণত ছোট নৌকা ২,৫০০ থেকে ৩,০০০ টাকা, মাঝারি নৌকা ৩,৫০০ থেকে ৪,৫০০ টাকা এবং বড় নৌকা ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকায় পাওয়া যায়। রাতে থাকা হলে ভাড়া বাড়বে। নৌকার সুবিধা, ধারণ ক্ষমতা ও সিজনের ওপর নির্ভর করে ভাড়া কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে। রান্নার জন্য চাইলে মাঝির সাথে আলোচনা করে বাবুর্চি এনে রান্নার ব্যবস্থা করতে পারেন, নাহলে নিজেই রান্নার ব্যবস্থা করে ফেলুন।

হাওরের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য, বুকিং করার আগে সবকিছু পরিষ্কারভাবে জানতে ভুলবেন না।

থাকবেন কোথায়

টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়ে, বেশিরভাগ পর্যটকই হাওরের মধ্যে হাউজবোটে রাত কাটানোর অভিজ্ঞতা নিতে পছন্দ করেন। আমি নিজেও হাউজবোটে রাত কাটিয়েছিলাম, যা সত্যিই অসাধারণ ছিল। হাওরের মাঝে, শান্ত পানিতে ভাসতে ভাসতে রাতের আকাশের তারাগুলোর সৌন্দর্য দেখতে আর মিষ্টি বাতাসের অনুভূতি নিতে এতটা আনন্দদায়ক কিছু হতে পারে না।

যদি হাউজবোটের অভিজ্ঞতা না নিতে চান, তবে টেকেরঘাট বাজারে রাতে থাকার বিকল্পও রয়েছে। এছাড়া, সুনামগঞ্জ শহরে বিভিন্ন হোটেলেও রাত কাটানো সম্ভব। তবে আমি বিশেষভাবে পরামর্শ দেব, যদি টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের পরিকল্পনা করেন, তবে হাওরের নৌকায় অন্তত এক রাত কাটানো উচিত। এই অভিজ্ঞতা নিশ্চিতভাবে আপনার মনে দাগ কাটবে এবং একেবারেই ভুলতে পারবেন না।

খাবার ব্যবস্থা

হাউজবোটে থাকার সময় খাবারের সুবিধা বেশ ভাল। আমি নিজেও হাউজবোটে ছিলাম এবং প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত খাবার ছিল যা সত্যিই স্বাদে পূর্ণ ছিল। তবে, যদি নিজস্ব রান্নার পরিকল্পনা থাকে, তাহিরপুরে নৌকায় ওঠার আগে আপনার থাকা সময়ের বাজার কিনে নিতে পারেন।

দিনের জন্য ফিরতে চাইলে, তাহিরপুরে স্থানীয় খাবার হোটেলগুলোতে রইতে পারেন, যেখানে আপনি হাওরের বিভিন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে আপনার পছন্দের মাছ দিয়ে খাবার উপভোগ করতে পারবেন। টেকেরঘাটেও কিছু ভালো খাবার পাওয়া যায়। তবে, যদি রাতে টাঙ্গুয়ায় থাকার পরিকল্পনা করেন এবং নিজের রান্নার ইচ্ছে থাকে, তাহলে আগে থেকেই বাজার করে নিন। হাওরের মাঝখানের ছোট বাজারগুলোতে তাজা মাছ, দেশি হাঁস, কিংবা সুস্বাদু শুঁটকি পাওয়া যায়, যা আপনার রান্নার অভিজ্ঞতাকে আরও মজাদার করে তুলবে।

বর্ষায় টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের পরিকল্পনা ছিল অসাধারণ! রাতের বাসে করে সুনামগঞ্জ পৌঁছানোর পর, সকালে ওঠে শহরের খাবারের দোকান থেকে নাস্তা সেরে নিলাম। তারপর সিএনজি ভাড়া করে তাহিরপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। সেখান পৌঁছে নৌকার জন্য দরদাম করলাম এবং কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করে নিলাম। সকাল ৯টা নাগাদ নৌকায় উঠলাম এবং হাওরের দিকে যাত্রা শুরু করলাম।

প্রথম গন্তব্য ছিল ওয়াচ টাওয়ার। জলাবনের মোহনীয় সৌন্দর্য আর ছোট ছোট নৌকার মধ্যে বাচ্চাদের খেলা দেখে মন মুগ্ধ হয়ে গেল। ওয়াচ টাওয়ারের পর হাওরের মাঝখানে গিয়ে বিশাল জলরাশির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করলাম। এরপর দুপুরের দিকে টেকেরঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম। পথে পাহাড়গুলো একেবারে কাছে এসে দাঁড়াল, যা সত্যিই অবিস্মরণীয়।

টেকেরঘাটে এসে নীলাদ্রি লেকে একটু গা ভেজালাম এবং হাওরে নৌকায় রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নিলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে শিমুল বাগান, যাদুকাটা নদী এবং বারিক্কাটিলা দেখতে গেলাম। বর্ষাকালে নদীতে পর্যাপ্ত পানি থাকায় সব জায়গা ঘুরে দেখলাম নৌকায়। শুকনো মৌসুমে মোরটবাইক ভাড়া করে যাওয়ার বিকল্প থাকলেও, এই সময় নৌকা ছিল একেবারে আদর্শ।

দুপুরের মধ্যে টেকেরঘাটে ফিরে আসলাম এবং কিছুক্ষণ হাওর ঘুরে সন্ধ্যার আগে তাহিরপুর ফিরে সিএনজি বা লেগুনায় সুনামগঞ্জ পৌঁছালাম। রাতে বাসে করে নিজের গন্তব্যের পথে রওনা দিলাম। পুরো ট্যুরটি ছিল একদম দারুণ অভিজ্ঞতা!

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন:

হাওরে গিয়েই প্রথম কাজ হিসেবে লাইফ জ্যাকেট নিশ্চিত করুন। নিরাপত্তার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি একসাথে গ্রুপে গিয়ে থাকেন, তবে খরচ কমবে এবং একটি আনন্দময় অভিজ্ঞতা হবে। চার-পাঁচজন বা আট-দশজনের গ্রুপে যাওয়ার সুবিধা অনেক।

বজ্রপাতের সম্ভাবনা থাকলে নৌকার ছইয়ের নিচে নিরাপদ অবস্থান করুন। খাবারের অতিরিক্ত অংশ বা প্যাকেট হাওরের পানিতে ফেলা থেকে বিরত থাকুন—এটি পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করবেন না এবং রাতের বেলায় অতিরিক্ত উজ্জ্বল আলো এড়িয়ে চলুন।

টাঙ্গুয়ার মাছ, বন্যপ্রাণী, বা পাখি ধরা থেকে দূরে থাকুন এবং তাদের জীবন হুমকির মধ্যে ফেলবেন না। এছাড়া, জলাবনের কোন অংশ ক্ষতিগ্রস্ত না করার ব্যাপারে সচেতন থাকুন। এই সতর্কতাগুলির মাধ্যমে আপনি আপনার টাঙ্গুয়া ভ্রমণকে আরো নিরাপদ ও উপভোগ্য করে তুলতে পারবেন।

ভ্রমণে যাওয়ার প্রস্তুতি

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের প্রস্তুতির জন্য কিছু জরুরি জিনিসপত্র সঙ্গে রাখা উচিত। একটা টর্চ এবং ব্যাকআপ ব্যাটারির পাশাপাশি পাওয়ার ব্যাংকও নিয়ে যেতে ভুলবেন না। ক্যাম্পিং মগ, চাদর, এবং রেইনকোর্ট বা ছাতা নিয়ে নিন—বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি থেকে রক্ষা পেতে এগুলো প্রয়োজনীয়। নিয়মিত সেবনীয় ওষুধ এবং টয়লেট পেপারও সাথে রাখুন।

বড় পলিথিন দিয়ে ব্যাগ ঢেকে রাখুন, যাতে বৃষ্টি থেকে সুরক্ষা পায়। প্লাস্টিকের স্যান্ডেল ব্যবহার করুন, চামড়ার স্যান্ডেল এড়িয়ে চলুন কারণ এগুলো দ্রুত নষ্ট হতে পারে। সানগ্লাস, ক্যাপ বা হ্যাট এবং গামছা (যা দ্রুত শুকাবে) সঙ্গে রাখুন। খাবার পানি যেন পর্যাপ্ত থাকে তা নিশ্চিত করুন এবং হাফ প্যান্ট ও সহজে শুকানোর উপযোগী জামাকাপড় নিন। এসব প্রস্তুতি আপনার ভ্রমণকে আরও আরামদায়ক ও নিরাপদ করে তুলবে।

ভ্রমণ সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য ও আপডেট পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজ ফলো করুন এবং আমাদের ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিন।

বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে জানিয়ে দিন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top